বাংলা প্রবন্ধ
বাংলা প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যের একটি বিশাল জায়গা দখল করে আছে। প্রবন্ধে বিভিন্ন বিষয়ের বর্ণনা বেশ বড়/বৃহৎ আকারে লেখা হয়ে থাকে। লেখকের ব্যক্তিগত মতামত এখানে সর্বাধিক প্রাধান্য পায়। বর্ণনামূলক গদ্যকে সাহিত্যে প্রবন্ধ বলা হয়ে থাকে। আবার নাতিদীর্ঘ সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকেও প্রবন্ধ বলা হয়ে থাকে। এককথায় আমরা বলতে পারি নিজের কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে লেখক যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরুপ সৃষ্টি করেন তাই প্রবন্ধ। প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যেরে একটি অন্যতম শাখা। প্রবন্ধের সমার্থক শব্দ করলে এমনটি দ্বাড়ায়ঃ রচনা, সন্দর্ভ, সংগ্রহ। যিনি প্রবন্ধ লিখেন তাকে প্রাবন্ধিক বলা যায়। প্রাবন্ধিক যে সকল প্রবন্ধ লিখেন তার বিষয়বস্তু জীবনমুখী, শৈল্পিক, কাল্পনিক, ঐতিহাসিক কিংবা আত্মজীবনীমূলক হয়ে থাকতে পাড়ে। যিনি প্রবন্ধ রচনা করেন তাকে প্রবন্ধকার বলা হয়ে থাকে। প্রবন্ধকার মূলত প্রবন্ধে কোন বিশেষ বিষয়কে তুলে ধরে তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। প্রবন্ধ শব্দের প্রকৃত অর্থ করলে যা দ্বাড়ায় তা হল প্রকৃষ্টরুপে বন্ধন। ‘প্রকৃষ্ট বন্ধন’ বলতে আমরা বিষয়বস্তু ও চিন্তার ধারাবাহিক বন্ধনকে বুঝে থাকি।
শ্রেণিবিভাগঃ প্রবন্ধ প্রধানত ২ (দুই) ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে। যথাঃ
১। তন্ময় প্রবন্ধ বা বস্তুনিষ্ঠ ও
২। মন্ময় প্রবন্ধ বা ব্যক্তিনিষ্ঠ।
যে সকল প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য থাকে, তাকেই তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ প্রবন্ধ বলে। অর্থাৎ তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধে লেখককে অধিক পরিমাণে বস্তুনিষ্ঠ হতে হয়। লেখকের পান্ডিত্য, জ্ঞানের গভীরতা ইত্যাদি এখানে বেশ ভালোভাবে প্রকাশ পায়। বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকেই মূলত প্রকৃত প্রবন্ধ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
মন্ময় প্রবন্ধে লেখকের মেধাশক্তির চেয়ে ব্যক্তিহৃদয়ই প্রধান হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তির বা লেখকের ব্যক্তিগত অভিমত প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
এই প্রবন্ধ বেশ কয়েক ভাগে বিভক্তঃ
১। বিবৃতিমূলক
২। ব্যাখ্যামূলক
৩। বর্ণনামূলক
৪। বিতর্কমূলক
৫। চিন্তামূলক
৬। তথ্যমূলক
৭। নীতিকথামূলক।
বিভিন্ন শ্রেণীর বাংলা প্রবন্ধ পড়তে/ ডাউনলোড করতে নিচের লিংকগুলো অনুসরন করুন।
০১। বাংলা প্রবন্ধ-১
০২। বাংলা প্রবন্ধ-২