সফটওয়্যার
ইলেক্ট্রনীয় গণকযন্ত্র বা কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশকে কাজের উপযোগী করা, এটাকে পরিচালনা করা এবং এটাকে দিয়ে কোন বিশেষ ব্যবহারিক কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য যে বিভিন্ন নির্দেশনাক্রম তথা প্রোগ্রাম এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য নির্দেশনাক্রম তথা রুটিন বা ফাংশন ব্যবহার করা হয় (যাদের মধ্যে কম্পিউটারের পরিচালক ব্যবস্থা বা অপারেটিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত), তাদের সবগুলিকে একত্রে সাধারণভাবে কম্পিউটার সফটওয়্যার বা কম্পিউটার নির্দেশনাসামগ্রী বলা হয়। এর বিপরীতে কম্পিউটারের ইলেকট্রনীয়, বৈদ্যুতিক, চৌম্বক ও অন্যান্য সমস্ত দৃশ্যমান ও স্পর্শনীয় ভৌত যন্ত্রাংশগুলিকে একত্রে কম্পিউটার যন্ত্রাংশসামগ্রী বা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলা হয়ে খাকে। সহজ কথায় বলতে গেলে সফটওয়্যার হল কিছু প্রোগ্রামের কালেকশন। যা কম্পিউটার বা কোনো ইলেকটরোনিক্স যন্ত্র কে নির্দেশ এখন কি করতে হবে? কিভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে? কিংবা এক বা একাধিক লোক কোন একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য একে ব্যাবহার করে।
কম্পিউটার সফটওয়্যার হল একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম। সফটওয়্যার পরিষ্কারভাবে বর্ণিত নির্দেশাবলী দ্বাড়া গঠিত যেটা হার্ডওয়্যারকে কোন কাজ করার জন্য নির্দেশ করে। সফটওয়্যার কম্পিউটার মেমরির মধ্যে সংরক্ষিত হয় এবং স্পর্শ করা যায় না। সফটওয়্যার সাধারণত মানুষের ব্যবহার করার জন্য সহজ এবং আরো দক্ষ যে উচ্চ পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ভাষা দ্বাড়া তৈরী করা হয়। যে সব সমস্যা একজন মানুষের করতে অনেক সময় লাগে, সেটা কম্পিউটার সফটওয়্যার দ্বাড়া খুব সহজে এবং কম সময়ে করা সম্ভবপর হয়। সাধারণত মানুষের দ্বাড়া কোন কাজ করলে যে পরিমান টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , কম্পিউটার সফটওয়্যার এর সাহায্যে একই কাজ করলে অনেক কম খরচ হবে।
(www)‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ ওয়েব নামে পরিচিত। ওয়েব একটি সিস্টেম যেটা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে হাইপারটেক্সট ডকুমেন্টকে ব্যবহার করতে সাহায্য করে থাকে। একটি ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে, লেখা, চিত্র, ভিডিও, এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া ওয়েব পেজে দেখানো যায়।
মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট একটা পথ যেটা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সাহায্যে করা যায়। যেমন ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহায়ক, এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল সহায়ক বা মোবাইল ফোন হিসেবে কম ক্ষমতা হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস এর মান উন্নত করা হয়। এখনকার সময় প্রায় সকল মানুষ মোবাইল এবং মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করে।
সফটওয়্যার এর প্রকারভেদঃ
সফটওয়্যার প্রধানত তিন প্রকারঃ
১। সিস্টেম সফটওয়্যার,
২। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ও
৩। প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার।
আসুন আমরা জেনে নেই সিস্টেম সফটওয়্যারর কি?
১। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কে একত্র করে কাজের উপযোগী করে।
২। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে।
৩। কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং হার্ডওয়্যার এর মাঝে সমন্বয় সাধন করে।
৪। ব্যবহারকারীর দেয়া বিভিন্ন নির্দেশনা অনুযায়ী হার্ডওয়্যার কে পরিচালনা করে।
৫। কম্পিউটার কে, কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে এসব আদেশ দেয়ার জন্য সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয়।
আরও সহজ কথায় আমরা বলতে পরি যে, কম্পিউটারের পরিচালক হল সিস্টেম সফটওয়্যার।
সিস্টেম সফটওয়ার সাধারনত তিন প্রকার। যথাঃ-
১। অপারেটিং সিস্টেম,
২। ইউটিলিটি সিস্টেম ও
৩। মিডল ওয়্যার।